তুলসী পাতা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা।
তুলসী পাতা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা।তুলসী পাতাটি ফুটিয়ে গড়গড়া করলে গলা ব্যথায় আরাম পাওয়া যায়।
বেশিরভাগ দেশে তুলসীকে মানসিক চাপমুক্ত করার একটি অসাধারণ ওষুধি হিসেবে ধরা
হয়। তুলসীর ভিটামিন সি, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট মানসিক চাপ কমাতে সহায়তা
করে। এই উপাদান গুলো নার্ভকে শান্ত করে শরীরের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে
রাখে।
তুলসী পাতার গুনাগুন হয়তো বলে শেষ করা যাবে না। বিশেষজ্ঞদের মতে প্রতিদিন একটি
করে তুলসী পাতা চিবিয়ে খান। বাসার বারান্দায় যেখানে আলো বাতাস চলাচল করে সেখানে
লাগিয়ে রাখতে পারেন উপকারী তুলসী গাছ। শিশু থেকে শুরু করে যে কোন বয়সের মানুষের
ঠান্ডা সর্দি কাশির ক্ষেত্রে তুলসী পাতা অনেক উপকারী। তুলসী পাতার খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে নীচে বিস্তারিত বলা হলো
পোস্ট সূচীপত্র: তুলসী পাতা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
- তুলসী পাতা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
- মাথার উকুন দূর করতে তুলসীর উপকারিতা
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে তুলসির উপকারিতা
- জ্বরের জন্য তুলসী পাতার রয়েছে উপকারীতা
- তুলসী পাতার রয়েছে অনেক অজানা পুষ্টিগুণ
- অতিরিক্ত ব্যবহারে তুলসী পাতার অসুবিধা রয়েছে
- হজমের সমস্যা তুলসী পাতার ব্যবহার
- রূপচর্চায় তুলসী পাতার উপকারিতা হয়েছে
- মুখের দাগ ও ব্রণের জন্য তুলসী পাতার ব্যবহার
- চুলে তুলসী পাতার রয়েছে উপকারিতা
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে তুলসী পাতার ব্যবহার
- যেসব রোগ সারাবে তুলসী পাতার রস
- শেষ কথা: তুলসী পাতা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
তুলসী পাতা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
তুলসী পাতা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা। তুলসী পাতা ঔষধি ব্যবহারের ক্ষেত্রে অনেক কার্যকর বলে মনে করা হয়। এগুলো
আপনি সরাসরি উদ্ভিদ থেকে সংগ্রহ করে খেতে পারেন। তুলসির পাতার মত তুলসী বীজের
উপকারিতা ও প্রচুর। আপনি তুলশি বীজ এবং পাতার ঘোরাও ব্যবহার করতে পারেন। ঠান্ডা
ঠান্ডা এই পাতাগুলো ঠান্ডা হজম শক্তি এবং খোদা বৃদ্ধি এবং রক্ত পরিশোধন করার
বৈশিষ্ট্য রয়েছে। পাতার জাল হার্টের অসুখ পেটে ব্যথা ম্যালেরিয়া এবং
ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমনের জন্য খুব উপকারী।
তবে এর কিছু অপকারিতা ও রয়েছে। তুলসী পাতা বেশি পরিমাণে সেবনের ফলে শ্বাসকষ্ট
মূএ কাশির সঙ্গে রক্ত যেতে পারে। যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের গ্লুকোজের মাত্রা
অতিরিক্ত কমে গিয়ে হাইপো গ্লাই সেমিয়া হতে পারে। গর্ব অবস্থায় রক্ত পাতলা করার
ওষুধ খান তারা তুলসী পাতা সেবনের ব্যবহার ব্যাপারে সচেতন থাকেন। তুলসী পাতা খেলে
দাঁতে কালকে দাগ পড়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়।
মাথার উকুন দূর করতে তুলসীর উপকারিতা
যদি আপনার মাথায় উকুন থাকে তো এবং বেশ কয়েকদিন ধরে এই সমস্যা নিরাময় না হয়,
তবে আপনার চুলে তুলসির তেল লাগান। তুলসী গাছ থেকে তুলসী পাতা নিয়ে তা থেকে তেল
তৈরি করে চুলে লাগিয়ে সেখানকার উকুনও খুশকি কমে যায়।
নিয়মিত তুলসীর তেল মাথায় লাগালে উকুনো খুশকি থাকে না। এটি একটি প্রাকৃতিক ওষুধ
হিসেবে কাজ করে। অনেক উপকার পাওয়া যায়। প্রত্যেকের উচিত মাথায় উকুন বা খুশকি
হলে তুলসীরে তেল লাগানো। এতে করে মাথায় উকুন দূরীভূত হয়। এবং মাথার বিভিন্ন
রোগজীবাণু দূর হয়ে যায়।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে তুলসির উপকারিতা
তুলসী পাতা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা।তুলসী গাছের নিয়মিত সেবনে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। যা সর্দি ও
অন্যান্য সংক্রামক রোগ থেকে রক্ষা করে। তুলসী বীজের গুঁড়ো ২০ গ্রাম চিনিতে ৪০
গ্রাম চিনি মিশিয়ে মিশিয়ে নিন ঠান্ডার সময় এক গ্রাম পরিমাণে এই মিশ্রণটি
কয়েকদিন খেলে শারীরিক দুর্বলতা দূর হয় দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়
এবং বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
এছাড়া ৫থেকে ১০মিলিয়ে তুলসীর রসের দ্বিগুণ পরিমাণে গরুর হালকা ঘি গ্রহণ করলে কফ
সম্পর্কিত রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এর এন্টিঅক্সিডেন্ট প্রতিরোধ ক্ষমতা
বাড়াতে সাহায্য করে। তুলসী পাতার কারমিনেটিভ বৈশিষ্ট্য হজমে সাহায্য করে এবং
গ্যাস ও ফোলা ভাব কমাতে পারে। তুলসী পাতা ব্রণের সমস্যা দূর করতে এবং ত্বক
উজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করে সারা দিনে ক্লান্তি ও দুশ্চিন্তা দূর করতে পারে তুলসী
পাতার এক কাপ চা।
জ্বরের জন্য তুলসী পাতার রয়েছে উপকারীতা
তুলসী গাছ থেকে সাপটি তুলসী পাতা এবং পাঁচটি লবঙ্গনে এক গ্লাস পানিতে সেদ্ধ করুন।
পানিতে দেওয়ার আগে তুলসী পাতা এবং লবঙ্গ কেটে নিন পানি যখন অর্ধেক হয়ে যাবে
অল্প অল্প করে লবণ যোগ করুন এবং এটি গরম অবস্থায় চায়ের মত পান করুন। এবং
কিছুক্ষণের জন্য গরম কাপড় পড়ুন এবং ঘাম দিন এটি তাৎক্ষণিকভাবে সৃষ্টি করে এবং
সর্দি এবং কাশির নিরাময় করে এই দুই থেকে তিন দিনের জন্য দিনে দুবার নেওয়া যেতে
পারে।
ছোট বাচ্চাদের যখন ঠান্ডা থাকে তুলসী এবং ৫ থেকে ৭ ফোটা মধু আদারসে মিশ্রণ করুন
এবং তার থেকে মিশ্রণ করুন এবং পান করান। স্বল্প পরিমাণে নবজাতক কে দেওয়া যেতে
পারে। এতে করে জ্বর অনেকটা কমে যাবে। জ্বর ঠান্ডা সারাতে তুলসী পাতা রস খেতে
পারেন এই পাতার রস খেলে ওষুধ খাওয়ার প্রয়োজন নেই।
তুলসী পাতার রয়েছে অনেক অজানা পুষ্টিগুণ
- তুলসী পাতা রস ব্যাথা কমাতে সাহায্য করে
- এন্টি ব্যাকটেরিয়াল এন্টিভাইরাল এন্টিফাঙ্গাল গুণাবলী থাকায় ইনফেকশন কমায়
- এন্টিঅক্সিডেন্ট গুণাবলী থাকায় কোষের অবাঞ্ছিত বৃদ্ধি রোধ করে
- লিভার ত্বক ও কিডনির ক্যান্সার রোগ ও দেয় এর বিশেষ ভূমিকা রয়েছে
- তুলসী পাতার রস মন উৎপন্ন রাখায় হরমোনের পরিমাণ বৃদ্ধি করে
- সারাদিন এক ক্লান্তি ও দুশ্চিন্তা দূর করতে পারে তুলসী পাতার এক কাপ চা
- প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও জিংক থাকায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে
- শরীরে যে কোষগুলো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় সেগুলো মৃত করে
- শরীরের পরিপাক প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে ওজন কমাতে সাহায্য করে
- অগ্নাশয় থেকে ইনসুলিন নিঃসরণে সাহায্য করে ফলে যাদের পরিবারে ডায়াবেটিস আছে তুলসী পাতার রস সেবনের ফলে ভবিষ্যতে তাদের ডায়াবেটিস হওয়ার প্রবণতা অনেকাংশে কমে থাকে
অতিরিক্ত ব্যবহারে তুলসী পাতার অসুবিধা রয়েছে
তুলসী পাতায় থাকা অতিরিক্ত পটাশিয়াম এর ফলে আমাদের রক্তচাপ কমে যেতে পারে।
তাই কারো নিম্ন রক্তচাপে সমস্যা থাকলে তুলছে পাতা না খাওয়াই উত্তম। অতিরিক্ত
তুলসী পাতা খেলে নারীদের বন্ধুতের একটি কারণ হতে বলে মনে করেন চিকিৎসকরা। তাই
নারীরা অতিরিক্ত তুলসী পাতা খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। কোন মা অতিরিক্ত তুলসী
পাতা খেলে এ সময় নানা জটিলতা দেখা দিতে পারে। তাই সন্ধান করার সময় তুলসী পাতা
না খাওয়াই উত্তম
অতিরিক্ত পরিমাণে তুলসী পাতা খেলে আপনার শ্বাসকষ্ট এবং সেই সাথে মুত্র ও কাশির
সঙ্গে রক্ত যেতে পারে। যাদের হার্ট এবং হার্টের বাল্বের সমস্যায় রক্ত পাতলা করার
ওষুধ খান তারা তুলছে বাতাস এমন করার ব্যাপারে সচেতন থাকবেন সে ক্ষেত্রে অবশ্যই
ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন কাঁচা তুলছে পাতা চিবিয়ে খেলে দাঁতে কালচে দাগ পড়ার
আশঙ্কা বেড়ে যায় কারণ গবেষণায় দেখে গেছে তুলসী পাতায় টাকা ফেলতে পারে তাই
তুলসী পাতা চিবিয়ে নয় বরং গিলে খাওয়াই উত্তম।
আরো পড়ুনঃ লাল চা এর উপকারিতা ও অপকারিতা।
হজমের সমস্যা তুলসী পাতার ব্যবহার
হজমের গোলযোগ অথবা পেটের মোছ রানের সমস্যা এখন প্রতিদিনের রুটিন হয়ে গেছে,
কারণ বর্তমানে খাদ্য অভ্যাস উন্নতির কারণে আমাদের হজম তন্ত্রের বিভিন্ন রকম
সমস্যা দেখা দিচ্ছে। সেই কারণে যখন তখন স্বস্তির আশায় ডাক্তারের কাছে যেতে
হয়। তবে সব সময় আর মেডিকেল খোলা থাকে না।
তাছাড়া বিভিন্ন জনের বিভিন্ন সমস্যা ফার্মেসিতে তাই এই সমস্যার সমাধানের
জন্য ঘরোয়া ভাবে তুলসীকে বেছে নিন। নিয়মিত তুলসী পাতা খেলে হজমের সমস্যা
দূরীভূত হয় পরিপাকতন্ত্র ভালো থাকে। এতে করে সুস্থভাবে জীবন যাপন করা
যায়। তবে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চলুন। এতে করে সমস্যা অনেকটা
কমে যাবে তবে আরো অনেক কিছুর ক্ষেত্রেও তুলসীর বিশেষ উপকারিতা রয়েছে।
রূপচর্চায় তুলসী পাতার উপকারিতা হয়েছে
বিশ্বমঞ্চে আমরা প্রত্যেকেই চাই যে আমরা যেন সবার চেয়ে সুন্দর/সুন্দরী দেখতে
হই। আর সে কারণে পার্লারের বিভিন্ন কসমেটিকের সাহায্য নিয়ে থাকে। তবে এতে
আমাদের ত্বকের সরাসরিভাবে ক্ষতি না হলেও পরোক্ষভাবে ক্ষতি হয়। সে কারণে আমি
বলব আপনি প্রাকৃতিক আয়ুর্বেদিকের সাহায্য নিতে পারেন।
যেমনতুলছিতুলসীতেরয়েছেপ্রোটিন,কার্বোহাইড্রেট,ক্যালসিয়াম,আয়রন,সোডিয়াম,পটাশিয়াম,এন্টিভটেরিয়াল,এন্টিঅক্সিডেন্ট,ম্যাগনেসিয়াম,পটাশিয়াম,ফসফরাস,ভিটামিনইত্যাদিরয়ছে
যা আমাদের ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। এতে করে আপনি যথেষ্ট ভাবে রূপকথা করতে
পারবেন আপনার ত্বক ভালো থাকবে
মুখের দাগ ও ব্রণের জন্য তুলসী পাতার ব্যবহার
তুলসী পাতা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা যথেষ্ট পরিমাণে রয়েছে।অল্প মুখে অথবা শরীরে বিভিন্ন স্থানে ব্রনের মত সমস্যা দেখা দেয়। বিভিন্ন
ব্যাকটেরিয়ার কারণে তবে আমরা জানি যে তুলসী এন্টি ব্যাকটেরিয়াল তাই এক্ষেত্রে
তুলসির সাথে পরিমাণ মতো নিম পাতার মিশ্রণ পেস্ট করে ব্রণ স্থানে লাগানো যেতে
পারে। ব্রণের চিকিৎসায় তুলসী পাতা মুখের অনেক পুরনো তার চোখ অনেক সময় লজ্জায়
ফেলে দেয়।
এছাড়া সাম সাম্প্রতিক ও কিছু তার চোখ বান্দার মত ছেড়ে যেতে চায় না। সেজন্য
আমরা তুলসী পাতা ব্যবহার করে সে মুখে টক্সিন বের করে মুখের জেলা ধরে রাখে কারণ
এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে এনটিঅক্সিডেন্ট তুলসীর টেস্ট ও টক দই মিশিয়ে মুখে
দাগের উপর লাগান দিনে দুইবার এতে আপনার সমস্যা দূর হবে মাত্র ১ সপ্তাহে।
চুলে তুলসী পাতার রয়েছে উপকারিতা
বর্তমান পরিবেশের উন্নতির সাথে সাথে দূষণ ও সমানভাবে বেড়ে চলেছে। যার প্রভাব
আমাদের প্রত্যেকের দৈনন্দিন জীবন এর অপর পড়ছে। তাছাড়া আমাদের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ
গুলো অনেক সমস্যা সম্মুখীন হতে হচ্ছে। আর তার অন্যতম একটা সমস্যা হলো চুল
সংক্রান্ত সমস্যা নিত্য প্রয়োজনীয় কাজের চাপ অতিরিক্ত চিন্তা দূষণ আর নিজেকে
সুন্দর করতে প্রতিযোগিতার এই বিশ্বমঞ্চে নিয়মিত পার্লারে এগিয়ে চলল আমাদের
চুলের ওপর পড়ে চুলেরও প্রচুর ক্ষতি করে যেমন চুল পড়া অতিরিক্ত মাথার দূর করতে
হবে।
নারকেল তেলের সাথে তিন চামচ তুলচির রস মিশিয়ে চুলের গোড়ায় গোড়ায় মালিশ করে
30 মিনিট পর্যন্ত রেখে দিয়ে যে কোন শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন এতে চুলের
গোড়া মজবুত হবে স্কেল রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পাবে চুল পড়া সমস্যা দূর হবে এটি
বিভিন্ন পরীক্ষায় প্রমাণিত তুলসী পাতা এক কাপ জলে ভিজিয়ে রাখুন সকালে উঠে সেই
একটি আমলকে ভালো করে পেটে ৪০ মিনিট ধরে মালিশ করুন এবং ৪০ মিনিট পর সেই
তুলসীপাতা জল ও যে কোন শ্যাম্পু দিয়ে মাথা ধুয়ে ফেলুন
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে তুলসী পাতার ব্যবহার
বর্তমান বিশ্বের প্রায় ৯৩% মানুষ ডায়বেটিসে আক্রান্ত। ডায়াবেটিস রোগের
ক্ষেত্রে এখনও পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট কোন নিরাময় আবিষ্কার হয়নি। এই রোগে
নিয়মিত ওষুধ খেতে হয় ব্লগার লেভেল বেড়ে গেলে খাদ্যাভাস জীবনযাত্রার পরিবর্তন
ছাড়া কোন উপায় হাতে থাকে না। শুধু খাদ্যাভাস নয় শরীর সর্দার ক্ষেত্রে বিশেষ
নজর দেওয়া প্রয়োজন। এই অবস্থায় এছাড়াও নিয়মিত ওষুধের সাথে ইনসুলিন নিতে
হয় অনেক রোগীর ক্ষেত্রে।
এক গবেষণায় জানা গেছে যে বয়সের কোন ভেদাভেদ ছাড়াই দিন দিন ডায়াবেটিস রোগে
আক্রান্ত হচ্ছে। সারারাত তুলসির কয়েকটি পাতা জলে ভিজিয়ে রেখে সকালে এসে জল
খালি পেটে পান করুন। এতে আপনার অনেক ইনসুলিন করনিয়ন্ত্রণে থাকবে। সকালে তুলসীর
চা করে খেতে পারেন কাঁচা তুলসীর পাতা চিবিয়ে খাওয়া যায় তুলসির রস ও মধু
একসাথে সকালে খেতে পারেন। এক্ষেত্রে নিয়মিত খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে কৌশিক সে
যেকোনো সময় খেলে চলবে তবে নিয়মিত খেতে হবে।
যেসব রোগ সারাবে তুলসী পাতার রস
তুলসী একটি ওষুধ গাছ তুলসী গাছের পাতা ভিজে পাগল ও সেকর সবকিছুতেই অতি
প্রয়োজনীয় ঔষধি গুণের এই টুসি বিভিন্ন কাজ করে ফুসফুসের দুর্বলতা আকাশ হাসি
কুষ্ঠু শ্বাসকষ্ট সর্দি জ্বর চর্মরোগ দুঃখ বেদনা ও হাঁপানি হাম বসন্ত কৃমি
ঘামাচি রক্তে চীনের পরিমাণ হ্রাস গিটের দংশন ব্যথা কার্যকর পুরুষের আরো একটি
বিশেষ গুণ রয়েছে সেটি হচ্ছে মশা তাড়ানো অবাক হওয়ার কিছু নেই সত্যি সত্যিই
মশা তাড়ানোর ক্ষমতা রয়েছে তুলসীর মশার কামড় থেকে বাঁচতে হলে মশারি টানানো
প্রয়োজন পড়বে না যদি খুশি থাকে করে।
- আসুন জেনে নেই যেসব রোগ সারাবে তুলসী পাতার রস
- তুলসীপাতা পানিতে ফুটিয়ে সেই পানি পান করুন জ্বর ঠান্ডায় লাগায় প্রতিরোধে কাজ করে
- তুলসী পাতা পেতে তার সঙ্গে মধু আদা মিশিয়ে খান জমে থাকা সর্দি থেকে মুক্তি পাবেন
- তুলসী পাতা ও চন্দনের সঙ্গে পেটে কপালে লাগিয়ে রাখুন দেখুন মাথা ব্যাথা চলে যাবে
- তুলসী পাতা বনে ভাব কমাতে যথেষ্ট কার্যকর
- তুলসীর মধ্যে আছে যারা এর গুণে আপনার ত্বক থাকবে উজ্জ্বল
শেষ কথা: তুলসী পাতা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
নিয়মিত তুলসী পাতার রস খেলে রোগবালাই থাকবে অনেক দূরে। তাই সুস্থ থাকার
জন্য প্রতিদিন অন্তত একটি করে তুলসী পাতা খান। আর নিয়মিত তুলসী পাতা পেতে ঘরের
বারান্দায় একটু আলো বাতাস আসতে সেখানে কিংবা উঠানে একটি তুলসী গাছ লাগিয়ে
দিতে পারেন এতে করে আপনি উপকৃত হবেন। তুলসীর অগণিত দিক বিটক্সি ফাইন বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থগুলো দূর করে এবং সামগ্রিকেশনের প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে এতে করে শরীর সুস্থ থাকে।
আমার মতে, তুলসী পাতা তার ওষুধে গুণাবলীর জন্য ধরে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায়
এবং ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। এর
এন্টিঅক্সিডেন্ট এবং এটি বৈশিষ্ট্য বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে রাম কৃষ্ণ
বনাম এবং তুলসীর বিভিন্ন প্রকার বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা অতিরিক্ত ব্যবহার
ক্ষতিকর প্রভাব দেখা দিতে পারে। যেমন রক্তচাপ কমে যাওয়া রক্ত পাতলা হওয়া এবং
হরমোনের ভারসামহীনতা তাই তুলসীর ব্যবহারে সচেতন থাকা এবং বিশেষ প্রয়োজন
অনুযায়ী চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url